বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরই মধ্যে অনেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, নেতাকর্মীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ২০০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। পাশাপাশি মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য পরিবহনেও নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন। ফলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার থেকেই সিলেট জেলার সব উপজেলা থেকে দলবদ্ধভাবে নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যাত্রাপথে শৃঙ্খলা ও সমন্বয় বজায় রাখতে দায়িত্বশীল নেতারা তৎপর রয়েছেন।
এদিকে, সিলেটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় বসবাস করায় তারা সেখান থেকেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এতে ঢাকায় সিলেট বিএনপির উপস্থিতি আরও দৃশ্যমান হবে বলে আশা করছেন নেতারা।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী জানান, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সিলেট মহানগরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ৪২টি ওয়ার্ড থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। শুধু মহানগর এলাকা থেকেই অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, জেলা থেকে প্রায় ২০০টি বাস ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। এর মধ্যে শুধু সিলেট-৬ আসন থেকেই প্রায় ৪০টি বাসে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন।
নেতারা বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির জন্য একটি ঐতিহাসিক ও আবেগঘন মুহূর্ত। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি দলের ঐক্য, সাংগঠনিক শক্তি ও তৃণমূলের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে সিলেটের তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। নেতারা মনে করছেন, সিলেট থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ সারাদেশে বিএনপির শক্ত অবস্থানের বার্তা পৌঁছে দেবে।