বিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন যে, ভয়াবহ ঝড় ও প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও তারা গাজার উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।
শহিদুল জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি ফ্লোটিলার সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনশেন্স ফ্লোটিলা’-র ওপারের ডেকে আছেন। গত রাতের ঝড়ের সময়ে নৌযানটি দ্রুতগতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কারণে ঝড় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ফ্লোটিলার সামনের নৌযানগুলো ইতোমধ্যে ইসরায়েলি আক্রান্ত হয়েছে — তবু তারা ভীত নন। তাঁর কথায়, “আমরা পথেই আছি, অবরোধ ভাঙবই। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।”
এক অন্য পোস্টে শহিদুল বলেন, জাহাজে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে প্রথম রাতে তিনি খোলা ডেকে ঘুমিয়েছিলেন; পরে ঝড়ের কারণে এক্সিট গেটের ছোট একটি কোণে রাত কাটাতে হয়েছে। তিনি লিখেছেন যে রিমান্ড ও জেলখানার কঠিন অভিজ্ঞতা তাঁকে এই পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছে এবং তিনি শান্তিপূর্ণ ছিলেন।
শহিদুল আরও জানান যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের প্রতি অনুপ্রেরণা ও প্রার্থনার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে, এসব বার্তা তিনি সহযাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। মিডিয়া ও সাংবাদিকরা কনটেন্ট বা আপডেট জানতে চাইলে দৃক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধও তিনি জানিয়েছেন।
ফ্লোটিলার অন্যান্য জাহাজ আটকে রাখার ঘটনাকে শহিদুল আলম তিনি ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি জলদস্যুতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এরপরও তিনি দৃঢ় সুরে লিখেছেন, “আমরা অবরোধ ভাঙব। আপনাদের সংহতি আমাদের শক্তি, যা হয়তো আপনারা কল্পনাও করতে পারেন না। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।”