সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে জনমুখী ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে জরুরি সংস্কার দাবি করেছেন ব্রিটিশ গ্যাস কুকার (সিলেট ওয়েল্ডিং) ইউকে-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কয়সর আহমেদ।
তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও গণতন্ত্র টেকসই করতে হলে রাষ্ট্রের প্রতিটি মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। সেবার নামে দায়িত্বহীনতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আর বরদাস্ত করা যায় না।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এই বাংলাদেশি শিল্পোদ্যোক্তা মনে করেন, দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো গণমুখী নয়। নাগরিকের legitimate দাবি ও সমস্যাগুলো গুরুত্ব না দিয়ে দিনের পর দিন ফাইল চেপে রাখা, কোনো জবাব না দেওয়া কিংবা হয়রানি করা দু:খজনক বাস্তবতা।
কয়সর আহমেদের প্রস্তাবিত মূল সংস্কার দাবিসমূহ:
১. সব সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলক জবাবদিহির কাঠামোর মধ্যে আনা।
২. নাগরিক আবেদন বা পরামর্শ যথাযথভাবে আমলে নেওয়া নিশ্চিত করা।
৩. যদি আবেদন গ্রহণযোগ্য না হয়, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যাসহ প্রত্যাখ্যান জানানো।
৪. সরকারি কর্মকর্তারা কোনো চিঠি বা আবেদন তিন কর্মদিবসের বেশি আটকে রাখতে পারবেন না।
৫. উক্ত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানকে আইনগতভাবে জবাবদিহি করতে হবে।
৬. ব্যর্থ হলে সরকারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. আবেদনকারী চাইলে আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন এবং সেই পথ খোলা রাখতে হবে।
কয়সর আহমেদ আরও বলেন, দেশ ও জনগণের উন্নয়নে প্রবাসীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দেশে প্রশাসনিক অদক্ষতা ও জবাবদিহির অভাবে অনেক উদ্যোগ থেমে যায়। এটা আমাদের জন্য হতাশার।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করে, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও সেবাখাতের কার্যকারিতা বাড়াতে এ ধরনের নাগরিক-বন্ধুসুলভ সংস্কার অনিবার্য। বিশেষ করে প্রবাসীদের মতো অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠীর দাবি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।