রাজধানীর কলাবাগানে তাসলিমা আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, কলাবাগানের প্রথম লেনের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তাসলিমা ও নজরুল দম্পতি। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন নজরুল। পরে বিছানার চাদর দিয়ে মরদেহ পেঁচিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে তা রেখে দেন ডিপ ফ্রিজে।
এরপর দুই মেয়েকে নিয়ে নজরুল যান তার বোনের বাসায়। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও মায়ের দেখা না পেয়ে মেয়েরা ফোন করেন মামাদের। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশ নিয়ে বাসায় গিয়ে ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমার মরদেহ উদ্ধার করেন।
ডিএমপির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার জানান, নিহতের ভাই কলাবাগান থানায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নজরুল পলাতক। তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে ব্যক্তিগত গাড়িতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাসলিমার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাকে মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন নজরুল। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেন। হত্যার পর মরদেহ চাদরে মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয় ডিপ ফ্রিজে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নজরুল এক সময় ব্যবসা করলেও বর্তমানে তিনি বেকার ছিলেন এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। স্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তি, জমি ও অর্থ নিয়ে তিনি নিয়মিত চাপ সৃষ্টি করতেন। স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন এবং ফোন ব্যবহার করতেও দিতেন না। প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন।