পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের হরতকিবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক ব্যক্তি তার জামাইকে কোদাল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে। নিহতের নাম অভিনাশ চন্দ্র দাস (৪০), তিনি সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। অভিযুক্ত শ্বশুরের নাম শান্তি চন্দ্রশীল (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে অভিনাশ তার শ্বশুরবাড়িতে কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার জমা রাখেন। সেগুলো ফেরত নিতে তিনি তার স্ত্রী মনিকা দাসকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান। শুরুতে শ্বশুর শান্তি চন্দ্রশীল তাকে চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করেন। তবে পরে শ্বশুর, শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকার সঙ্গে তর্ক বাধে।
তর্কের এক পর্যায়ে শান্তি চন্দ্রশীল একটি কোদাল দিয়ে অভিনাশের মাথায় আঘাত করেন, যাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শান্তি চন্দ্রশীল, মেয়ে মনিকা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। নিহত অভিনাশের বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, “ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।