চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে জেলেদের জালে এবার ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙাশ মাছ। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে জেলেরা নদীতে নামলেও আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে কিছুটা হতাশ হন তারা। তবে জালে বিপুল পরিমাণ পাঙাশ ধরা পড়ায় সেই হতাশা দ্রুতই বদলে গেছে আনন্দে।
রোববার সকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে তোলা বিশাল আকারের পাঙাশে বাজার এখন সরগরম। কোনো কোনো নৌকা থেকে একসঙ্গে ৪০ থেকে ৪৫টি পর্যন্ত পাঙাশ নামাতে দেখা গেছে।
জেলে কাদির বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাল ফেলেও বড় ইলিশ পাচ্ছি না। ছোট জাটকা ধরা পড়ছে, যা দিয়ে তেলের খরচও ওঠে না। তবে পাঙাশ পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।”
চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার জানান, “এখন নদীতে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজনের বড় পাঙাশ পাওয়া যাচ্ছে। এসব মাছ কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ মণ পাঙাশ বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, “নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলেই নদীতে পাঙাশসহ অন্যান্য মাছের প্রাচুর্য দেখা যাচ্ছে। বড় ইলিশ না পেলেও আগামী দিনগুলোতে জেলেরা ভালো ইলিশ ধরতে পারবেন বলে আশা করছি।”
চাঁদপুর নদী গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, “নদীতে মা ইলিশ পর্যাপ্ত ডিম ছেড়েছে। ফলে শিগগিরই ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর পানিতে খাদ্যের প্রাচুর্যের কারণে বড় পাঙাশ এখন বেশি দেখা যাচ্ছে।”