গাজীপুরের টঙ্গীর আলোচিত খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজী স্বেচ্ছায় নিখোঁজ ছিলেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক যুবায়ের রশীদের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক মুহিবুল্লাহকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান জানান, ইমাম মুহিবুল্লাহর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, তিনি নিজেই ঢাকার গাবতলী থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসে পঞ্চগড় গিয়েছিলেন।
তাহেরুল হক আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়। সোমবার রাত আটটার দিকে মুহিবুল্লাহকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও স্বেচ্ছায় নিখোঁজ থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
গত বুধবার সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর মুহিবুল্লাহ নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকার পাশে মহাসড়কের ধারে শিকলবদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।