আকাশপথে ভ্রমণের সময় লাগেজ নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও উড়োজাহাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এসব নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। বিমানে সাধারণত দুই ধরনের লাগেজ নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। এগুলো হলো কেবিন বা হ্যান্ড লাগেজ এবং বুকিং বা চেক-ইন লাগেজ।
কেবিন বা হ্যান্ড লাগেজের ক্ষেত্রে বিদেশগামী যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৭ কেজি ওজনের ব্যাগ নিতে পারেন। এর আকারও নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে; দৈর্ঘ্য ২০ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি এবং গভীরতা ১০ ইঞ্চি। এই সীমার বাইরে গেলে ব্যাগটি কেবিনে নেওয়া যাবে না এবং সেটি বুকিং লাগেজ হিসেবে দিতে হবে। হ্যান্ড লাগেজে যাত্রীরা সাধারণত স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব, জরুরি কাগজপত্র এবং ওষুধ রাখতে পারেন। তবে ছুরি, কাঁচি, সুচ, ম্যাচ, লাইটার এবং ১০০ মিলিলিটারের বেশি তরল পদার্থ কেবিনে নেওয়া নিষিদ্ধ। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা বা স্বাচ্ছন্দ্যে বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন কোনো জিনিসও হ্যান্ড লাগেজে নেওয়া যাবে না।
বুকিং বা চেক-ইন লাগেজ সাধারণত ২৭ ইঞ্চি লম্বা, ১১ ইঞ্চি চওড়া ও ১৪ ইঞ্চি গভীরতার ব্যাগ হয়। অধিকাংশ এয়ারলাইন এক বা দুইটি ব্যাগ বিনা চার্জে বুকিং করার সুযোগ দেয়। ওজনের দিক থেকে, বিজনেস ক্লাস যাত্রী দুইটি ব্যাগে সর্বমোট ৬০ কেজি বহন করতে পারবেন। ইকোনমি ক্লাসে একই সংখ্যক ব্যাগে সর্বমোট ৪০ কেজি নেওয়া যাবে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এক ব্যাগে সর্বোচ্চ ১০ কেজি বহনের অনুমতি রয়েছে এবং শর্তসাপেক্ষে স্ট্রলার বহন করা যায়।
বুকিং লাগেজে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল বা ট্যাব, মূল্যবান সামগ্রী, পাওয়ার ব্যাংক বা লিথিয়াম ব্যাটারি থাকা যন্ত্র রাখা যাবে না। এসব হারিয়ে গেলে এয়ারলাইনের কোনো দায় থাকে না। এছাড়া পারফিউম, সেভিং ফোম বা জীবাণুনাশক জাতীয় দাহ্য পদার্থ ৫০০ মিলিলিটার বেশি নেওয়া যাবে না।
ভ্রমণের আগে মনে রাখা জরুরি যে, এয়ারলাইন, গন্তব্য ও টিকিট শ্রেণিভেদে লাগেজের নিয়ম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তাই নিজের এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে লাগেজ সীমা, অনুমোদিত পণ্য ও নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকা দেখে নেওয়াই নিরাপদ।
তথ্যসূত্র: এইচএসআইএ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স