বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, আজ শনিবার থেকে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। অপারেটররা ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিটিআরসি-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের পর থেকে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে, জুলাই মাসে কমিশন জানিয়েছিল যে একজন নাগরিকের নামে ১০টির বেশি সিম থাকা যাবে না। অতিরিক্ত সিম বন্ধের জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পূর্বে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে যে কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না। এছাড়া, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায়, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫টিতে সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি অনুমোদন হলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুসারে নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোবাইল সিমের সংখ্যা কমানো হবে। বর্তমানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারেন; তবে ধাপে ধাপে এটি কমিয়ে পাঁচ থেকে সাতটি করা হবে। সরকারের লক্ষ্য ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সিম সংখ্যা শেষ পর্যন্ত দুইটিতে নামানো।
একটি এনআইডির বিপরীতে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে তা জানতে গ্রাহক যে কোনো অপারেটরের (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক) থেকে *১৬০০১# ডায়াল করতে পারেন। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা পাঠালে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে, ওই এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত আছে এবং কোন কোন অপারেটরের সিম রয়েছে।