জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিষয়ে রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর)। এ উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সম্ভাব্য নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা রোধে রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ঢাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রাজধানীর বাইরে, আশপাশের জেলাগুলিতেও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকেই হাইকোর্ট এলাকা, বাংলা একাডেমি, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। পাশাপাশি রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আগামী ১৩ নভেম্বর নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। সেদিন নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।” তিনি জানান, নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত প্রায় একশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ডিএমপি ঘোষণা দিয়েছে—পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সুপ্রিম কোর্টের গেট ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ থাকবে। রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায়ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।