সিলেট
নগরীকে যানজটমুক্ত করতে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা, অবৈধ ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মহানগরের বন্দরবাজার আশপাশ সড়ক, টিলাগড়, পাঠানটুলা, আম্বরখানা পয়েন্ট, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর ও চন্ডিপুল এলাকায় একযোগে অভিযান শুরু করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এসময় কাগজপত্রবিহীন মোটরযানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অটোরিকশা (সিএনজি), লেগুনা ট্রাক প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। যাদের কাগজ-পত্র ঠিক রয়েছে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আর যাদের যানবাহনের কাগজপত্র পাওয়া যায়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচলকারী যেসব সিএনজিচালিত অটোরিকশা সবুজ রঙের উপর হলুদ রঙের বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি সেগুলোতে রঙ ব্যবহার করার জন্য বলে দেয়া হচ্ছে।
এর আগে এসএমপি’র ট্রাফিক শাখা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও সপ্তাহজুড়ে মাইকিং করে জানায়- সিএনজিচালিত বৈধ অটোরিকশা চালক ও মালিকদের প্রতি এসএমপি নির্দেশনা দিয়েছে- ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোতে সবুজ রঙের উপর হলুদ বর্ডার দিয়ে এবং মেট্রো এলাকার বাইরে চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোতে সবুজ রঙের উপর সাদা রঙের বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
এছাড়া বিশেষ কারণ ছাড়া মেট্রো এলাকার বাইরের অটোরিকশাগুলো মেট্রো এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না ও নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানানো হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ উপকমিশনার
(ট্রাফিক) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টমটম যত্রতত্র পার্কিও করে রাখছে। অনেক সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যা ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে। মহানগরকে যানজটমুক্ত করতে ও রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা এসব অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা চলমান থাকবে। মহানগরের ২৪টি পয়েন্টে আমরা আমাদের রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
এই কাজ কে বেগবান করার উদ্দেশ্যে জিরো টলারেন্স নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ । ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। সিলেটের সুবিদ বাজারের এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে সিলেটে কমে গেছে যানজট ।