মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব- শারদীয় দুর্গোৎসবের। বুধবার (৯ অক্টোবর) কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলু ধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় এই আনুষ্ঠানিকতা।
পূজা উপলক্ষে ভক্তরা মেতে উঠছেন আরাধনায়। সকালে কল্পারম্ভ এবং শায়ণকালে থাকবে দেবীর অধিবাস ও আমন্ত্রণ। যদিও গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এদিকে টানা চার দিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার নির্বাহী আদেশে আগামী বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী এ উৎসব শেষ হবে। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে।আর দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়।
পূজা উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মূল পূজা মন্ডপের ঠিক উল্টো পাশের র্যাব এবং পুলিশের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ডগ স্কোয়ার্ডের মাধ্যমে চলছে কঠোর তল্লাশি। টহল দিচ্ছে র্যাব পুলিশ এবং সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনী। কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।