খাগড়াছড়ি জেলায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলার সদর উপজেলা ও গুইমারায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা এখনও বহাল রয়েছে। পুলিশ জানায়, নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির পথে রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে যুক্ত দুই সড়কে অবরোধ শিথিল হলেও জেলার ভেতরের সড়কগুলোতে টানা চতুর্থ দিন চলেছে অবরোধ কর্মসূচি। এতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে আছেন। যদিও ঢাকা থেকে আসা নৈশ কোচ নিরাপদে খাগড়াছড়িতে পৌঁছেছে এবং সীমিত আকারে বাস, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
জেলা শান্ত রাখতে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার প্রশাসন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর মারমা কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই ঘটনার পর সন্দেহভাজন এক যুবককে সেনাবাহিনীর সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ, যিনি বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।
গুইমারায় সহিংসতায় গুলিতে নিহত তিন পাহাড়ির মরদেহ সোমবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে গত দু’দিনে প্রায় ৩০ জন আহত চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে এবং আজ কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”