ব্রিটিশ‑বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মী রুহি লরেন আখতার, যিনি সিলেটি শিকড়ের কন্যা হিসেবে পরিচিত, সমুদ্রপথে গাজার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ঐতিহাসিক অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা‑র বহরে একজন সহযাত্রী হিসেবে যোগ দিয়েছেন — এই বহরে বিশ্বের প্রায় ৪৪ দেশ থেকে আসা প্রায় ৫০০ করে তারা মানবতাবirতী হিসেবে গাজা অভিমুখে ত্রাণ বহন করছে।
রুহি ১৮ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়ার গামার্থ বন্দর থেকে তাদের নৌকাটি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সূত্র অনুযায়ী (প্রদত্ত তথ্য), ফ্লোটিলার মোট ৪০টিরও বেশি নৌযান রয়েছে এবং অন্তত ২৪টি নৌযান এখনও গাজার উদ্দেশ্যে অগ্রসর আছে; নৌপথে কিছু নৌযান ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হলেও অন্য নৌযানগুলো অগ্রসর ছিল।
রুহির নেতৃত্বে কাজ করা সংগঠন Refugee Biriyani & Bananas (RBB) দীর্ঘদিন ধরে গ্রিস, গাজা ও অন্যান্য সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য ও জরুরি সহায়তা বিতরণ করে আসছে। ২০১৫ সালে সিরিয়ান অভিবাসী সংকটের সময় শুরু হওয়া এই উদ্যোগ বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠিত মানবিক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। ২০২৪ সালে রুহিকে যুক্তরাষ্ট্রের নয়—বরং যুক্তরাজ্যের নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডসে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়েছে (আপনার প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী)।
রুহি নিজে নৃতাত্ত্বিকভাবে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত; জন্মগ্রহণ করেছেন ব্রিটেনের মরপেথে এবং বর্তমানে তিনি এলসউইক ওয়ার্ডে বসবাসরত। তার পিতার নাম কাপ্তান মিয়া। তিনি এনএইচএসে (যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা) ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
রুহি সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্টে বলেন, ‘অন্যায়ের সামনে নীরবতা কোনো সমাধান নয়’—তাই তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার এই মিশনে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এক টুকরো রুটি বা একটু পানি অনেক সময় গভীর অন্ধকারে Hoffnung (আশা) ফিরিয়ে দিতে পারে। ফ্লোটিলা বিশ্বে সংহতির বার্তা দিচ্ছে — আমরা গাজার মানুষের পাশে আছি।”
রুহি ও তার দলের কার্যক্রম সম্পর্কে সংবাদে বলা হয়েছে যে, ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক জানিয়েছেন: আটক হওয়া নৌযানগুলোতে মোট কমপক্ষে ২০১ জন যাত্রী ছিলেন—স্পেন, ইতালি, তুরস্ক, মালয়েশহীনসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে ছিলেন। রিপোর্টে আরো উল্লেখ আছে, ভূমধ্যসাগরে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১২৯ কিমি দূরত্বে অবস্থানকালে কিছু নৌযান ইসরায়েলি বাহিনীর বাধায় আটকা পড়ে। (আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রিপোোর্টিং।)
রুহি ও RBB‑র অন্যান্য সদস্যদের অনেকে নিজে বাস্তুচ্যুত কিংবা সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলের মানুষ—তাই তাদের কর্মকাণ্ডে ‘শরণার্থীর গভীর অন্তর্দৃষ্টি’ লেগে আছে। অভিযানের আগে রুহি ও তার টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্রাণ প্যাকেট প্রস্তুত করেছেন—খাবার, পানি ও জরুরি স্বাস্থ্যসামগ্রী যোগানো হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।