দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিলেও গরমের তীব্রতা কমেনি। তার উপর যুক্ত হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং—যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেট নগরীর জনজীবন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা এলাকায় একাধিকবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ওইদিন সিলেটে মোট চাহিদা ছিল ১৯০ মেগাওয়াট, অথচ সরবরাহ পেয়েছে মাত্র ১২১ মেগাওয়াট। ফলে ৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং করতে হয়েছে।
কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না:
-
ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেজরটিলা এলাকায় টানা লোডশেডিং চলে।
-
বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা ও উপশহর এলাকাতেও দিনের বড় অংশজুড়ে বিদ্যুৎ ছিল না।
-
সন্ধ্যার পরও একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
জনদুর্ভোগ:
-
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রান্না, গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ ব্যাহত হয়।
-
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিকেল ও সন্ধ্যার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে বিক্রি কমে গেছে।
-
নগরবাসী বলছেন, চাহিদার তুলনায় সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৈষম্যমূলকভাবে কম দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে দৈনিক ১,৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও পুরো বিভাগের চাহিদা মাত্র ৭০০–৮০০ মেগাওয়াট। অথচ সিলেটে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।
নগরবাসী বিলাল আহমদ চৌধুরী বলেন,
“সিলেটবাসীর প্রতি এই বৈষম্য বন্ধ করতে হবে। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকেই আমাদের ন্যায্য চাহিদা পূরণ করতে হবে।”
সিলেট পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন,
“জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম থাকায় আমাদের লোডশেডিং করতে হয়েছে। স্থানীয় অফিস থেকে এই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, সিদ্ধান্ত আসে প্রধান কার্যালয় থেকে। গরম কমলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”