১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম, জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১,৬০২ জন
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২০২৫ সালের ফলাফলে সিলেট বোর্ডে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এবার বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। একইসঙ্গে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬০২ জন পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, এবার ইংরেজিসহ কয়েকটি বিষয়ে খারাপ ফলাফলের কারণে সামগ্রিক পাসের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
২০২৪ সালে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৬৯৮ জন। সেখানে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ৬৯ হাজার ১৭২ জন; পাস করেছে মাত্র ৩৫ হাজার ৮৭১ জন।
ফলাফলে দেখা যায়, মাত্র তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব দেখিয়েছে, যেখানে গত বছর এ সংখ্যা ছিল আটটি। এছাড়া চারটি প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি—যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম।
সিলেট বোর্ডের আগের বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে শতভাগ পাস দেখানো হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরই ফলাফলে ওঠানামা থাকলেও এ বছর প্রথমবার এতটা নিচে নেমেছে পাসের হার।
| বছর | পাসের হার (%) |
|---|---|
| ২০১৪ | ৭৯.১৬ |
| ২০১৫ | ৭৪.৫৭ |
| ২০১৬ | ৬৮.৫৯ |
| ২০১৭ | ৭২.০০ |
| ২০১৮ | ৭৩.৭০ |
| ২০১৯ | ৬৭.০৫ |
| ২০২০ | ১০০.০০ |
| ২০২১ | ৯৪.৮০ |
| ২০২২ | ৮১.৪০ |
| ২০২৩ | ৭১.৬২ |
| ২০২৪ | ৮৫.৩৯ |
| ২০২৫ | ৫১.৮৬ |
এই ফলাফল নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঠদান ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার গুণগত মান হ্রাস, শিক্ষকদের দক্ষতার ঘাটতি এবং বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির অভাব এই ফলাফলের অন্যতম কারণ হতে পারে।
এ বিষয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ফল বিশ্লেষণ করে দেখছি কোথায় সমস্যা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডেকে করণীয় ঠিক করা হবে।”