২০২৬ সালের হজ মৌসুম সামনে রেখে চারটি টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব। একইসঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা যাচাইও কঠোরভাবে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কোন টিকা বাধ্যতামূলক?
সৌদির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, হজে অংশ নিতে হলে নিচের চারটি টিকা গ্রহণ করতে হবে:
-
কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস)
-
অনুমোদিত প্রস্তুতকারকের টিকা হতে হবে
-
সর্বশেষ ডোজ ২০২১–২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে
-
হজযাত্রার কমপক্ষে ১৪ দিন আগে টিকা সম্পন্ন থাকতে হবে
-
-
মেনিনজাইটিস
-
টিকা ৫ বছর পর্যন্ত বৈধ
-
সৌদিতে প্রবেশের অন্তত ১০ দিন আগে নিতে হবে
-
-
পোলিও
-
পোলিও নজরদারিভুক্ত দেশের হাজিদের জন্য প্রযোজ্য
-
হজযাত্রার ৪ সপ্তাহ আগে টিকা নিতে হবে
-
আন্তর্জাতিক টিকা সনদে উল্লেখ থাকতে হবে
-
-
ইয়েলো ফিভার
-
৯ মাসের বেশি বয়সী সব যাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক
-
সব দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, তবে অধিকাংশ দেশে প্রযোজ্য
-
গুরুতর অসুস্থদের জন্য নিষেধাজ্ঞা
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা থাকলে হজে অংশ নেওয়া যাবে না। যাঁরা অংশ নিতে পারবেন না:
-
অঙ্গ বিকল রোগী
-
ক্যানসারের চিকিৎসাধীন
-
উচ্চঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা
-
স্নায়বিক বা মানসিক সমস্যা
-
সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি
-
জটিল দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত
প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিন ও বাড়তি স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুপস্থিতিতে যাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বা কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য মূল্যায়নও করা হতে পারে।
সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে,
“বিশাল জনসমাগমে সংক্রমণ রোধ ও হাজিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। প্রত্যেক হাজি যেন নিরাপদ ও সুস্থভাবে হজ পালন করতে পারেন—এটাই আমাদের চাওয়া।”
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন