সরকারি অবহেলা ও উন্নয়ন প্রকল্পে বৈষম্যের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সিলেট প্রবাসীরা লন্ডনের অলতাব আলী পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তারা সিলেটের চলমান সমস্যাগুলোর প্রতি সরকারের উদাসীনতার তীব্র সমালোচনা করেন—বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের করুণ অবস্থার বিরুদ্ধে সরব হন তারা।
সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য সিলেট প্রবাসী সমাজ। এতে অংশগ্রহণ করেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী, শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী ও কমিউনিটি নেতারা।
সভাপতিত্ব করেন কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী, সঞ্চালনায় ছিলেন মো. আমিনুল ইসলাম এবং ছয় দফা দাবিনির্ভর লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইফতেকার সিদ্দিকী ইফতি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তিন বছর আগে ঘোষিত ঢাকা-সিলেট ছয় লেন প্রকল্প এখনও দৃশ্যমান হয়নি। মহাসড়কের গর্ত, ধুলা, যানজট ও দুর্ঘটনা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
তারা বলেন, সিলেট দেশের অন্যতম রেমিট্যান্স অঞ্চল হলেও সরকারের উন্নয়ন উদ্যোগে অবহেলিত। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখলেও দেশে ফিরে তারা ভোগান্তির শিকার হন—যা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, একপ্রকার অবমাননাও।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা চোখ বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান, যা সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি।
ছয় দফা দাবি:
১. ঢাকা-সিলেট ছয় লেন মহাসড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন
২. প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও নিয়মিত তদারকি
৩. প্রবাসী, পর্যটক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য বিশেষ ট্রেন সার্ভিস
৪. ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ
৫. বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা (ট্রেন ও নৌপথ) চালু
৬. পর্যটন খাতে বিশেষ প্রণোদনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন
সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে সিলেটবাসী।
তাদের এক কণ্ঠে দাবি— “সিলেট উন্নয়ন চাই—কাগজে নয়, রাস্তায়; প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবে।”






