ফেনীর সোনাগাজীতে এক শিশুর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ছবিটি শিশুটির সৌদিপ্রবাসী মামা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লেখেন— “এটা আমার বড় ভাগিনা, ওর হাতে এ বয়সে খেলনার পিস্তল থাকার কথা, অথচ ওর হাতে এখন অরিজিনাল পিস্তল।”
ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর তা ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়, কিন্তু অনেকেই এর স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করেছেন।
শিশুর বাবা জানান, তার সন্তান নানার বাড়িতে ছিল এবং ঘটনাটি তিনি জানতেন না। ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পরই বিষয়টি তার নজরে আসে। তিনি বলেন, “আমার শ্যালক মানসিকভাবে অসুস্থ। সে পূর্বেও বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত কাজ করেছে। পারিবারিক বিরোধ থেকেই হয়তো সে ছবিটি ছড়িয়েছে।”
স্থানীয়দের অনেকেই ঘটনাটিকে শিশুদের জন্য বিপজ্জনক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, “ছবিটি পুরনো—তিন-চার বছর আগের। তখন শিশুটি মাত্র তিন বছর বয়সী ছিল। বর্তমানে তার বয়স আট। শিশুর নানার বাড়িতে খেলার ছলে সে বন্দুকটি হাতে নিয়েছিল। পরে সেটি নানার বাড়ির খাটের নিচ থেকে পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।”
শিশুর নানা দাবি করেছেন, বন্দুকটি তার ছেলে একটি বাজারের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছিল এবং তা পরে ভাঙারির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ওসি বলেন, “ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”