বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুটি আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার মান নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের দেউলী মোহাম্মদীয়া আলিম মাদ্রাসা ও সাহেবপুর মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা—এই দুই প্রতিষ্ঠানে মোট ২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও কেউই আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অথচ দুটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন মোট ৪০ জন।
স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান করেন না। যথাসময়ে উপস্থিত না থাকা, শিক্ষা কার্যক্রমে গাফিলতি এবং অনেক শিক্ষক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় পাঠ গ্রহণ করতে পারেনি। এর ফলেই পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে পড়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল।
ফলাফল বিশ্লেষণ:
-
সাহেবপুর মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা: ২৪ জন শিক্ষক, ১৪ জন পরীক্ষার্থী — সবাই অকৃতকার্য
-
দেউলী মোহাম্মদীয়া আলিম মাদ্রাসা: ১৬ জন শিক্ষক, ৭ জন পরীক্ষার্থী — কেউ পাস করেনি
এ বিষয়ে সাহেবপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “পরীক্ষার হলে অতিরিক্ত কড়াকড়ির কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করতে পারেনি।”
অন্যদিকে দেউলী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল ফারাহ দোষ চাপিয়েছেন শিক্ষার্থীদের ওপর। তার দাবি, “শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা না করায় এ ফল হয়েছে।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, “এই ফলাফল অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের অফিসে ডেকে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে।”
এমন ফলাফলের পর এলাকায় শিক্ষার মান, শিক্ষক নিয়োগ ও নজরদারি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।