পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ধরে ফেলায় স্বামী ইকবাল হোসেনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার ও তার প্রেমিক রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে। হত্যার ঘটনা গোপন রাখতে মরদেহ গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু নিহতের সাত বছর বয়সি মেয়ে লিমা বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়।
বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কূপতলা ইউনিয়নের স্কুলের বাজার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ অভিযোগে অভিযুক্ত স্ত্রী হ্যাপি আক্তারকে আটক করেছে।
ইকবালের পরিবারের তথ্য মতে, প্রায় ১৫ বছর আগে ইকবালের সঙ্গে হ্যাপির বিয়ে হয়। তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কাঁচপুর এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাদের এক মেয়ে লিমা রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, হ্যাপি কাঁচপুর এলাকার রুবেল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। গত ২০ অক্টোবর রাতে ভাড়া বাসায় ইকবাল স্ত্রী ও তার প্রেমিককে ধরে ফেলেন। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়, রাতেই হ্যাপি ও রুবেল মিলে ইকবালকে হত্যা করেন।
পরদিন সকালে হ্যাপি স্বামীর মরদেহ গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে মেয়ে লিমা পরিবারের কাছে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে দেয়। পরে মরদেহের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে ইকবালকে হত্যা করেছে হ্যাপি। হত্যার ঘটনা গোপন রাখার চেষ্টা করা হলেও মেয়ে লিমার কারণে ফাঁস হয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. শাহীনুল ইসলাম তালুকদার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে হত্যার পুরো রহস্য উন্মোচিত হবে। ঘটনার মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত হ্যাপিকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় নিহত ইকবালের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।