বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য এখনও পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি। দীর্ঘ ২৯ বছর পর তার অপমৃত্যুর মামলা এখন রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। ছেলে হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে এখনও লড়ে যাচ্ছেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।
রমনা থানা পুলিশ জানিয়েছে, সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, “সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন আসামি দেশের বাইরে থাকলেও, যারা দেশে আছেন তাদের অবস্থান শনাক্তে ফোন ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
১৯৯৭ সালে সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভী আহমেদ ফরহাদের দেওয়া জবানবন্দি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সেই জবানবন্দিতে তিনি স্বীকার করেন, “আমরা সালমান শাহকে হত্যা করেছি এবং ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানো হয়। এ হত্যায় সামিরা ও তার পরিবারের সদস্যসহ আরও অনেকে জড়িত ছিলেন। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে ছিলাম।”
রেজভী আরও জানান, সালমান শাহকে হত্যার জন্য ১২ লাখ টাকায় একটি চুক্তি হয়েছিল, যা করেছিলেন সালমান শাহর শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এ চুক্তিতে খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক ও জাভেদসহ আরও কয়েকজন যুক্ত ছিলেন।
বর্তমানে মামলাটিতে মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। প্রধান আসামি সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, সাবেক শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়া বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।