স্ত্রীর অনৈতিক ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক ব্যক্তি হয়রানির শিকার হচ্ছেন—এমন অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবাসী শাহিদ উদ্দিন কোরেশীর মামা সালাহ উদ্দিন শাহিন। তিনি জানান, শাহিদ উদ্দিন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ উত্তরগাঁও গ্রামের শেখ উদ্দিন কোরেশীর পুত্র। ২০২৪ সালে তাঁর বিয়ে হয় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মোকামপাড়া ফতেহপুর গ্রামের মহরী এম এ জলিল বাবুর মেয়ে তাহমিনা বেগম সুমনার সঙ্গে।
সালাহ উদ্দিন শাহিন জানান, গত ৬ আগস্ট শাহিদ উদ্দিন তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই তাহমিনার আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়। তিনি স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতে থাকেন এবং প্রায় সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতেন। এতে পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে জানা যায়, বিয়ের আগে তাহমিনার অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা গোপন রেখে তার পরিবার জোর করে প্রবাসী শাহিদ উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে দেন। অভিযোগে বলা হয়, উমরাহ হজে গিয়েও স্ত্রী তাহমিনার আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর তাহমিনা বেগম যুক্তরাজ্যে পুলিশকে ফোন করে জানান যে তিনি স্বামীর বাসায় আর থাকতে চান না। এরপর পুলিশ তাঁকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। তখন তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন, যা শাহিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনায় আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার শাহিদ উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে তাহমিনা বেগম ও তাঁর প্ররোচনাদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।