যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর লন্ডনের কেনসিংটনে সেন্টারের নিজস্ব ভবনে কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের সভা আহ্বান করেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও সেন্টারের চেয়ারম্যান আবিদা ইসলাম। তবে সভাস্থলে পৌঁছানোর পরই তিনি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়—হাইকমিশনারের সঙ্গে সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদসহ কমিটির কয়েকজন নেতার তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে হাইকমিশনার বক্তব্য না দিয়েই সেন্টার ত্যাগ করেন।
পরে ব্রিটিশ পুলিশের উপস্থিতিতে আবিদা ইসলাম আবারও সেন্টারে ফিরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তারা নির্বাচিত কমিটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো পূর্ব যোগাযোগ ছাড়াই হাইকমিশনার সভা ডাকায় তারা বিস্মিত। তিনি বলেন, “২৬ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ সভায় কমিটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। তাই হাইকমিশনারের আহ্বান অনুযায়ী নির্বাচন নয়, বরং কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের বৈঠকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অপরদিকে নেতা অধ্যাপক শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভাকক্ষের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এর জন্য দেলোয়ারসহ কয়েকজনকে দায়ী করা হয়েছে।
হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, “বিব্রতকর অবস্থার কারণে আমি সেন্টার ত্যাগ করেছিলাম, পরে আবার ফিরে এসেছি। ২৬ নভেম্বর নতুন নির্বাচন আয়োজন অত্যন্ত জরুরি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সব পক্ষের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।”