ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সংগঠক ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, দীর্ঘদিনের অনাচার, অবহেলা ও বর্বরতার শিকার খোয়াই নদী। এটি হবিগঞ্জবাসীর জন্য আত্মহত্যার শামীল। খোয়াই নদীর সাথে হবিগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য এমনকি সভ্যতা জড়িত। এছাড়া এ নদীটি হাওর ব্যবস্থার অন্যতম অংশ। খোয়াই নদীতে ফেলা পলিথিন প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য হাওরের তলদেশে জমা হচ্ছে। মেঘনা হয়ে এসব প্লাস্টিক বর্জ্য বঙ্গোপসাগরে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষনায় হবিগঞ্জের হাওরের মাছে প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। খোয়াই নদীর দূষণকে কেবল পরিবেশ বা প্রতিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার উপায় নেই; বরং তা জনস্বাস্থ্য ও জীব-বৈচিত্র্যের জন্যও মারাত্মক হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে। আইনের প্রয়োগ, জনসচেতনতা ও জন প্রতিরোধ ছাড়া খোয়াই নদীর অবশিষ্টাংশও থাকবে না। গত ১৯ নভেম্বর সকালে দখল দূষণের কবল থেকে খোয়াই নদী রক্ষার দাবীতে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত নৌ যাত্রায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশ নেন। তাঁরা নৌকা নিয়ে নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল এর সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল বলেন, জেলার কৃষি, ব্যবসা- বাণিজ্য, যাত্রী, পণ্য পরিবহনে অন্যতম মাধ্যম ছিল খোয়াই। এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষজনও নদীকে ব্যবহার করতেন। বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। কৃষি কাজের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই নদী।
মাঝি ফারুক মিয়া বলেন, আমাদের নৌকা ঘাটটি ছিল পার্শ্ববর্তী গরুবাজার এলাকায়। এক যুগ আগেও সেখানে শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা আসতো। এখন সেগুলো ইতিহাস।