নির্দিষ্ট কোনও ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিতে শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস, ক্যাথরিন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, পেটের অস্ত্রোপচারের পর ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে এবং তিনি এখন প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। তার ক্যান্সারের ধরন নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে প্রিন্সেস সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৪২ বছর বয়সী ক্যাথরিন বলেন, তার এবং প্রিন্স উইলিয়ামের চেষ্টা ছিল পরিবারের ছোট সদস্যদের গোপনীয়তা রক্ষা করা, এবং তারা নিজেদের মতো করে বিষয়টি সামলাচ্ছেন। তিনি জানান, সন্তানদের জন্য সমস্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে কিছুটা সময় লেগেছে এবং তাদের বুঝিয়েছেন যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
প্রিন্সেস জানুয়ারিতে পেটের অস্ত্রোপচারের পর ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং এরপর চিকিৎসকরা তাকে কেমোথেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দেন। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তিনি কেমোথেরাপি শুরু করেছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে আরও কিছু জানানো হয়নি।
প্যালেস থেকে জানানো হয়েছে, রাজপরিবারের সদস্যরা এই কঠিন সময়ে একে অপরের পাশে আছেন এবং প্রিন্স উইলিয়াম তার স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন জানিয়েছেন। এক সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন রাজা চার্লসও, যিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কেমোথেরাপি সাধারণত অস্ত্রোপচারের পর দেওয়া হয়, যাতে ক্যান্সার ভবিষ্যতে ফিরে না আসে। প্রিন্সেস ক্যাথরিন এই মুহূর্তে পরিবারের পাশে থাকার এবং গোপনীয়তা রক্ষা করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
কেনসিংটন প্যালেসের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজপরিবারের জনসংযোগের মধ্যে প্রচণ্ড চাপ ও বিতর্কের মধ্যে প্রিন্সেসের ভিডিও বার্তা অনেকের কাছে সাহসিকতার পরিচয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ভিডিওটি বিশ্বজুড়ে সহানুভূতির সৃষ্টি করেছে এবং রাজপরিবারের সম্পর্কিত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও গুজবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করেছে।