‘উৎসব মানুষকে উদার করে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে আসার সুযোগ করে দেয়। উৎসবের মিলনমেলায় তৈরি হয় মৈত্রীবন্ধন। মানুষ আনন্দে মেতে উঠে। আজকের এই ‘শারদ সম্মিলন’ আমাদেরকে অনাবিল আনন্দের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অণুপ্রেরণা দেবে।
জ্যোতি ফাউন্ডেশন সিলেট-এর আয়োজনে শারদ সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নূর।
গতকাল সন্ধ্যায় নগরের জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমিতে কবি-সাহিত্যিকদের এই সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন লেখক ও সাবেক পরিচালক মাউশি এবং স্কুল অব বিজনেস, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সিলেটের ডিন অধ্যাপক হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, কবি এ কে শেরাম, গল্পকার জামান মাহবুব, সমাজসেবী জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, কবি পুলিন রায়, ছড়াকার অজিত রায় ভজন।
সভাপতিত্ব করেন জ্যোতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছড়াকার নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্যোতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ডা. অর্পণ চন্দ্র চন্দ। অনুষ্ঠান যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও কবি সঞ্জয় কুমার নাথ এবং ব্যাংকার অরুন কুমার বিশ্বাস।
শারদ বিষয়ক কবিতা ও লেখা পাঠে অংশ নেন- কবি ব্যাংকার সুমন বনিক, নাট্যকার বাবুল আহমদ, সাংবাদিক হৃষিকেশ রায় শংকর, কবি অমিতা বর্দ্ধন, লেখক সংগঠক বিনয় ভূষণ তালুকদার, কবি শহিদুল ইসলাম লিটন, গীতি কবি উত্তম কুমার চৌধুরী, কবি ইসমত আরা খান মুক্তা, ব্যাংকার জ্যোতি মোহন বিশ্বাস, অধ্যাপক হিমাংশু রঞ্জন দাস, কবি ধ্রুব গৌতম, কবি মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, কবি জালাল জয়, কবি আলাউদ্দিন তালুকদার, ব্যাংকার মতিলাল মালাকার, ব্যাংকার দ্বীপক দাশ, কবি সন্তোষ পাল।
প্রধান অতিথি বলেন, শরৎ ঋতুকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক। এই শরতেই পালিত হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। এক সময় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ এই দুর্গোৎসব এখন কঠোর প্রহরায় পালন করতে হয়। গত দু-দশক ধরেই এটি চলে আসছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের পুরোনো সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক সন্দীপন শুভ, প্রভাতী সিংহ মজুমদার, ব্যবসায়ী নিধীর রঞ্জন সূত্রধর, অব. ব্যাংকার পরেশ চন্দ্র দেবনাথ, ইঞ্জিনিয়ার অরবিন্দ রায় অপু, সংগঠক উত্তম ঘোষ, অব. ব্যাংকার প্রণদীশ দেব, শিক্ষক পাঁচু মোহন বিশ্বাস, সংগঠক পরিমল দেব শর্মা, নিখিল রায় পূজন, নাট্যকর্মী অমিত ত্রিবেদী, অভিজিৎ চক্রবর্তী, শিক্ষক ভানু চন্দ্র পাল, সংগঠক মনোজ কান্তি ভট্টাচার্য মান্না, এমরান ফয়সল, ভূপাল রঞ্জন চন্দ, এমিলি, কবি মৃনাল চৌধুরী মঞ্জু, বাবুল চৌধুরী, নিত্যানন্দ চন্দ, রোকসানা বেগম, সমাজ হিতৈষী রমা কান্ত গুপ্ত রুপু, বাচিক শিল্পী পরাগ রেনু দেব তমা, বনশ্রী চৌধুরী পাপড়ী, শুভ্রা গুপ্ত, সুমন দাস, কবি সুজন পুরকায়স্থ, রিপন মিয়া, শাহরিয়ার।
আলোচনা ও কবিতাপাঠের ফাঁকে সংগীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিক্ষক প্রদীপ কুমার দে ও তাঁর দলের সদস্য সুমন পাত্র, দেবজিৎ পাত্র, জয় পাত্র, বিবেকানন্দ পাত্রসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলার প্রকৃতির ষড়ঋতুতে রয়েছে হরেকরকম সৌন্দর্যের ডালি। দেশের কবি সাহিত্যকরা তাদের লেখায় পরম মমতা ও আবেগে তুলে এনেছেন রূপসী বাংলার বিচিত্র রূপ। বিশেষ করে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকল ঋতুকেই উপলক্ষ করে রচনা করেছেন অসংখ্য গান ও কবিতা। সাহিত্যমোদী মানুষ এসব গানে ও কথায় আপ্লুত হন, ফিরে পান জীবনের ছন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে শতাধিক কবি সাহিত্যিক ও অতিথিদের জ্যোতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে লেখার ডায়েরি উপহার ও আপ্যায়ন করানো হয়।