ইটন এবং ডকল্যান্ডে নৌকা বাইচের জমকালো আয়োজন
আগামী ২১ আগস্ট দুটি ভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ইটনের ডর্নি লেইক এবং ডকল্যান্ডের রিগেট্টা সেন্টারে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া, মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের এগবাস্টন রিজার্ভরে ২৪ জুলাই নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে স্থানীয় কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি।
লন্ডনে ১২তম ন্যাশনাল নৌকা বাইচ
লন্ডনের ডর্নি লেইকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১২তম ন্যাশনাল নৌকা বাইচ। আয়োজক মোহাম্মদ আবদুল আজিজ ও তার টিম এই প্রতিযোগিতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের নৌকা বাইচের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত এই লেক এবারও নির্বাচিত হয়েছে। প্রায় সাত হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই লেকে প্রতিযোগিতার তারিখ ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এই আয়োজন ব্রিটেনের রানীর প্লাটিনাম জুবিলি এবং ব্রিটেন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপনের প্রতি উৎসর্গ করা হবে। প্রতিযোগিতার সম্মানিত অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্যার গর্ডন গ্রীনিজ, পলা মঞ্জিলা উদ্দিন এবং আনোয়ার চৌধুরী। পাশাপাশি, বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম পেট্রন হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় ১৮টি দল অংশগ্রহণ করবে, এবং একসঙ্গে ছয়টি নৌকা প্রতিযোগিতায় নামবে। বিজয়ী দলকে পাঁচ হাজার পাউন্ড পুরস্কার, সোনার মেডেল এবং সোনার তৈরি ট্রফি প্রদান করা হবে। দর্শকদের জন্য কোনো প্রবেশ ফি ছাড়াই পুরো আয়োজন উপভোগের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ডকল্যান্ডের চ্যারিটি বোট রেইস
২১ আগস্ট লন্ডনের রিগেট্টা সেন্টারে চ্যারিটি বোট রেইসের আয়োজন করেছে একটি চ্যারিটি সংগঠন। গিফট অব নলেজ, সিস্টার্স ফোরাম এবং নিউহ্যাম ইয়ুথ লিংক-এর সহায়তায় এই প্রতিযোগিতা হবে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বাংলাদেশে মানবিক সহায়তায় ব্যয় করা হবে।
বার্মিংহামে ৬ষ্ঠ নৌকা বাইচ
২৪ জুলাই বার্মিংহামের এগবাস্টন রিজার্ভরে ৬ষ্ঠ বারের মতো নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে স্থানীয় কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি। গত ২১ মার্চ ক্রাউন ব্যাংকুইটিং হলে একটি গালা ডিনারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে নৌকা বাইচের থিম সং প্রকাশ করা হয়, যেখানে বাংলাদেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে স্থগিত থাকলেও এবার নতুন উদ্দীপনায় ফিরে এসেছে। আয়োজকদের দাবি, ব্রিটিশ বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে বহুজাতিক সমাজে তুলে ধরতে তাদের এই উদ্যোগ। নৌকা বাইচ ছাড়াও থাকছে দেশাত্মবোধক গান এবং শিশুদের জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক খেলাধুলা।