পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছে এবং ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-এ পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ বুলেটিনে এ কথা বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভোর ৬টায় চট্রগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৬’শ ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬শ’২০কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দরের ৬শ’ ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬শ’ ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।
এটি আরো ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ ৮৮ কিলোমটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে।