হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৪২ জন নেতা-কর্মীকে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবর রহমান মাহি আর ৪২ নম্বর আসামি হলেন শাহ গোলাম জিলানি।
গত ১৬ অক্টোবর বানিয়াচংয়ের আগুয়া গ্রামের কাজী শামিম আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, নূর ইসলাম, সাদিকুর রহমান নোমান, মালেক মিয়া, রুবেল মিয়া, মুহাম্মদ আলী চিশতি, মুজিবর রহমান খান, রফিক মিয়া, তারেক মিয়া, আতাউর রহমান সজল, মুহাম্মদ আরজত আলী, মোঃ সনু মিয়া, নায়েব আলী, মোঃ জিয়া উদ্দিন, সুজিত রায়, মেহেদী হাসান ফাহিম, হাবিব খান, মোঃ তাজুল ইসলাম, নাজমুল হাসান রনি, সাকিব মিয়া, সোহেল চৌধুরি, সুহেল মিয়া, এনাম মিয়া, হুমায়ন মোল্লা, মন্নর আলী, কাউসার মিয়া, বোদন মেম্বার, বিপ্লব রায় চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হবু, ফজলু মিয়া, ফজল আহমেদ, মোঃ ফারুক মিয়া, মেহেদী হাসান ইশান, ফরহাদ মিয়া, জনব আলী, সাইফ মিয়া, এম আহমেদ আজাদ, কদর আলী, আকিকুজ্জামান তানভীর, আব্দুল গনি ও ইন্তাজ মিয়া।
মামলা সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই বহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিরোধী ছাত্র-জনতার একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল শহরের কোর্ট মসজিদের সামন থেকে শুরু হয়ে সাইফুর রহমান টাউন হলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পুরাতন হাসপাতাল অর্থাৎ নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে আসা মাত্র জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবর রহমান মাহির প্ররোচনা ও উস্কানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও অগ্নেয়াস্থ নিয়ে হামলা চালায়। মহিবর রহমান মাহির নির্দেশে আতাউর রহমান সজল গুলি ছুড়লে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।
চোখে মুখে গুলিবিদ্ধ হয় আল আমিন, দুলাল মিয়া, মোঃ সেলিম মিয়া। রামদার আঘাতে গুরুতর জখম হন জয়নাল সরদার ও সিয়াম। আসামী শাহ জিলানির দা’র কুপে জখম হন মামুনুর রশিদ। আরো আহত হন, হেলালুর রহমান তুর্কি, আব্দুল কাইয়ুম, রকি শীল।