আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষ্যে রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আর.ডব্লিউ.ডি.ও) এর উদ্যোগে নারী পুরুষ সমমজুরী এবং নারী কৃষকের অধিকার বিষয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে লাক্কাতোরা চা বাগান এলাকায় প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর মো. জাহিদুল ইসলাম রশিমের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন টুকের বাজার ইউপি সংরক্ষিত নারী সদস্য দিপালী গোয়ালা।
সভাপতির বক্তব্যে দিপালী গোয়ালা বলেন, আমরা চা বাগানের বসবাসকারী নারীরা আমাদের ন্যায্য মজুরি পাই না সময় মতো, চা বাগানের নারীদের ভূমিই নাই, সবজি বা ধান চাষের জন্য যে জমি দেওয়া হয় তা পুরুষদের নামে দেয়া হয় এবং এমনকি সেই জমিতে আমরা মহিলা চাষ করি। আমরা নারী হিসেবে চাই আমাদের ন্যায্য অধিকার ও ভূমির অধিকার। নারী দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের দাবি এটাই।
সোহেল বিশ্বাস বলেন, আমাদের কারো কিন্তু নিজস্ব জমি নাই, জায়গা ও নাই আমার যা পাই তা বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে দেয়া হয় তাও আবার অনেক চুক্তির বিনিময়ে আমাদের সপ্তাহিক টাকা থেকে কেটে নেয়া হয় এবং এমনকি আমরা যে জায়গাতে বসবাস করি সেই জায়গাতে কোন কিছু করতে গেলে সব কিছুর টেক্স দিতে হয়। আমরা দৈনিক মজুরী পাই ১৭০ টাকা সপ্তাহে ১১৯০ টাকা পাই তা থেকে সব কর্তন হয়। আমাদের বাগান শুধু না অন্য কোন বাগানে ও নারীদের ভূমি নাই। বাগানে যারা বসবাস করে তাদের নিজস্ব জায়গা নাই সেই জায়গাতে নারীরা ভূমি অধিকার কোথায় পাবে, আমরা চাই নারীদের ভূমি প্রতিষ্ঠিত হউক এবং তারা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সেই দাবি আমি আজকের এই মিটিং উপস্থাপন করলাম।
উক্ত আলোচনায় মুক্তি লোহার বলেন আমরা বাগানে কাজ করি কিন্তু আমরা সঠিত সময়ে আমাদের পাওনা টাই পাই না ইে জায়গাতে ভূমি অধিকার কোথায় পাবো ইে জায়গাতে কৃষি ফলন কেমনে করবো , আমরা চাই এএলআরডি জাতীয় পর্যায় কাজ করে তারা যেন তৃণমুল থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয় পর্যায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং তার সঠিক প্রক্রিয়া নিতে।
আরো বক্তব্য রাখেন, লাক্কাতুরা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তি লোহার, সাধারণ সম্পাদক সুহেল বিশ্বাস, সহকারী সম্পাদক শ্যামলী গোয়ালা, নির্বাহী সদস্য হেনা দাস ও কূলবতী লোহার, লাক্কাতুরা প্রি-প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা রেবা সিনহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আর.ডব্লিউ.ডি.ও এর কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর বৃষ্টি গোয়ালা, ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য কাজল বারিক, সমীক লোহার, সমীর বারিক, অষ্টমনি লোহারসহ চা বাগানের নারী ও পুরুষ সদস্যবৃন্দ।