চলতি বছরের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি জানান, দেশের অনেক বেসরকারি হজ এজেন্সি এখনো সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে না এবং ধীরগতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে কোনো হজযাত্রী সৌদি যেতে না পারলে তার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেই নিতে হবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়ি ভাড়া, বাস ভাড়া, ক্যাটারিং সার্ভিসসহ সৌদি আরবের সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব চুক্তি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর আর কোনোভাবেই সময় বাড়ানো হবে না।
এছাড়া হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৩ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হজের যাবতীয় খরচ পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে তাগিদ দেয়া হয়েছে, যাতে হজ ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন হয়।
এদিকে বিমান ভাড়া কমাতে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো এজেন্সি বা ব্যক্তি অগ্রিমভাবে টিকিট সংরক্ষণ করতে পারবে না। টিকিটের জন্য সংশ্লিষ্ট যাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসা নিশ্চিত না হলে টিকিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
২০২৫ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫,২০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১,৯০০ জনসহ মোট ৮৭,১০০ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ওমরাহযাত্রীদের ভোগান্তি কমবে এবং বিমান ভাড়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।