২০২৪ সালে ইংল্যান্ডে পানিদূষণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, গত বছর দূষণের ২,৮০১টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৬০% বেশি। এর মধ্যে অন্তত ৭৫টি দূষণ পরিবেশ, পানীয় জল ও জনস্বাস্থ্যের জন্য “গুরুতর বা স্থায়ী” ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি জানিয়েছে, এই পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অবহেলা। তারা পানি কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে সঠিকভাবে নজরদারি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশেষ করে থেমস ওয়াটার (৩৩), সাউদার্ন ওয়াটার (১৫) এবং ইয়র্কশায়ার ওয়াটার (১৩)—এই তিনটি কোম্পানি সবচেয়ে গুরুতর দূষণের অধিকাংশ ঘটনার জন্য দায়ী।
পরিবেশ সচিব স্টিভ রিড একে “লজ্জাজনক” বলে আখ্যায়িত করেন এবং দায় দেন দীর্ঘদিনের বিনিয়োগ ঘাটতি ও দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে। রিভার অ্যাকশন-এর প্রধান জেমস ওয়ালেস বলেন, “এটি কেবল পরিবেশগত ব্যর্থতা নয়, জাতীয় লজ্জা।”
এজেন্সির বার্ষিক পরিদর্শনে দেখা গেছে, চারটি পরিদর্শনের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো তাদের পারমিট লঙ্ঘন করেছে—যা আইনত অপরাধ।
কমিটির তথ্য মতে, এই ধারা বজায় থাকলে ইংল্যান্ডের পানি অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে সংস্কারে ৭০০ বছর লেগে যাবে। এর পেছনে কোম্পানিগুলোর বছরের পর বছর মুনাফা বিনিয়োগের বদলে ঋণ ও লভ্যাংশে ব্যয় করাকেই দায়ী করা হয়েছে।
এদিকে ওয়াটার ইউকে জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে রেকর্ড £১০৪ বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে গ্রাহকদের বার্ষিক বিল গড়ে £১২৩ পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা সাউদার্ন ওয়াটারের ক্ষেত্রে হতে পারে £২২৪।
আগামী সোমবার পানি খাতের সংস্কার নিয়ে ওয়াটার কমিশনের প্রধান স্যার জন কানলিফ তার সুপারিশ প্রকাশ করবেন। প্রাথমিকভাবে তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে “গভীর ও পরস্পর-সংযুক্ত ব্যর্থতা” চিহ্নিত করেছেন এবং পূর্ণ সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের এমন নিয়ন্ত্রক দরকার যারা ব্যাংক খাতের মতো সক্রিয়ভাবে তদারকি করতে পারে।”
সূত্র: বিবিসি