Uk Bangla Live News

শাপলা বিলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটক

শাপলা বিল
ডেস্ক সংবাদ

জৈন্তাপুরের নীলনদ খ্যাত লালাখাল ও লাল শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যের বিবরণ মানুষের মুখে মুখে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। তাই বিদেশিরা এখন আসছেন এসব জায়গা দেখতে। মুগ্ধ হচ্ছেন, নিজের ব্যস্ত জীবনে একটুখানি শান্তির পরশ নিচ্ছেন। মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে লাল শাপলার রাজ্য ডিবির হাওর। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত স্থানটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। তাইতো প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।
সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল, কেন্দ্রী বিলসহ ৯০০ একর জায়গায় এই লাল শাপলার রাজ্যে। প্রতিবছর শরতের শেষ দিকে শাপলা ফুটতে দেখা যায়। গত কয়েকদিন থেকে এখানে নতুন ফুল ফোটায় বাড়ছে পর্যটক। তাদের জন্য স্থানীয়ভাবে সুরক্ষা কমিটি করা হয়েছে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে হাওর ঘুরে কাছ থেকে লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রয়েছে নৌকার ব্যবস্থা।
দেশের উত্তরপূর্ব জনপদ সিলেটের এ অঞ্চলে ঋতুকেন্দ্রীক পর্যটনের যে রেওয়াজ ছিল, তার অবসান হয়েছে। এখন শীতকালে এসব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগুনায় মেতে থাকে। খাসি-জৈন্তিয়া পাহাড় আর সংলগ্ন এলাকার নিসর্গের সৌন্দর্যের কথাই যে বলা হচ্ছে, তা পাঠক হয়ত ইতোমধ্যেই বুঝে গেছেন এমন কি পাঠকগণ মনে করে যৌবন ফিরেছে লাল শাপলায়। এসব জায়গায় অবশ্য বর্ষাকালেও পর্যটকদের আনাগোনা কমেনা। তাই সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে লালাখাল, শ্রীপুর ও রাংপানি। শীতকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে জমে উঠে পর্যটকদের মিলন মেলায় ডিবির হাওড় ‘লাল শাপলার বিল’।
পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় শাপলা বিল সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা পর্যটকদের বরণ করার অপেক্ষায় আছি। আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ডিবির হাওড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা লোকজনও বেশ উচ্ছ্বসিত। পানির ওপর ভেসে থাকা লাল শাপলার গালিচা তাদের মন জয় করে নিয়েছে।
ঢাকা রায়পুর হতে বেড়াতে আসা পর্যটক তৌহিদ বলেন, প্রতি বছর শীতে আমি এখানে ঘুরতে আসি। এখানে এলে আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। প্রকৃতি যে কতো সুন্দর তা এখানে না আসলে কোনোভাবে বুঝানো যাবে না। তাই পরিবার পরিজনসহ বেড়াতে এসেছি।
পুরো অঞ্চলটি প্রাগৈতিহাসিককাল ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত জৈন্তিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সে রাজ্যের রাজ-রাজাদের স্থাপনাগুলো এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুরো এলাকাগুলোতে। প্রাগৈতিহাসিক কালের মেগালিথিক সংস্কৃতির অনুপম নিদর্শন ছড়িয়ে আছে বৃহত্তর জৈন্তা অঞ্চলে। এছাড়া জৈন্তেশ্বরী বাড়ি, রাজবাড়ি, ঢুপি মঠ ও পান্থশালা, রাজা বিজয় সিংহের সমাধিসৌধ, ঘণ্টি টাওয়ার ইত্যাদি। ডিবির হাওর লাল শাপলার বিলের উত্তর পারে রয়েছে রাজা বিজয় সিংহের সমাধিসৌধ যা পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি নিজের জ্ঞানভান্ডারকেও সমৃদ্ধ করতে পারেন।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ডিবির হাওরে সব সময় আমাদের টহল টিম থাকে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সদা তৎপর রয়েছি।

Print
Email

সম্পর্কিত খবর

কর্মী সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াতের মতবিনিময়
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ থাকবে না সিলেটের যেসব এলাকায়
ভারতীয় পুলিশের হাতে চার আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সিলেটে দেড় কোটি টাকার পণ্য জব্দ
সাংবাদিক জুয়েলের পিতার মৃত্যুতে অনলাইন প্রেসক্লাবের শোক
হবিগঞ্জে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
বার্মিংহামে ঘূর্ণিঝড়ে সিলেটি প্রবাসীর মৃত্যু
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই বছরে শেষ হয়েছে ১১ ভাগ কাজ
ওসমানীতে বিমানের সিটের নিচে মিলল সোয়া কোটি টাকার স্বর্ণ
নিলাম চলাকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধস্তাধস্তি-মারামারি