আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার পেনশনের ভবিষ্যৎ কী হবে—এটি অনেকেরই সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। এর উত্তর নির্ভর করে আপনি কী ধরণের পেনশন রেখেছেন, আপনার বৈবাহিক অবস্থা কী, এবং আপনি কাউকে সুবিধাভোগী মনোনীত করেছেন কিনা তার উপর।
যদি আপনি ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিলের আগে পেনশন পাওয়ার বয়সে পৌঁছান, তাহলে আপনি পুরাতন রাষ্ট্রীয় পেনশন স্কিমের আওতায় থাকবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার মৃত্যু হলে আপনার স্ত্রী বা সিভিল পার্টনার আপনার পেনশনের একটি অংশ পেতে পারেন।
এছাড়া, যদি আপনার জাতীয় বীমা রেকর্ড পূর্ণ না হয়, তবে সঙ্গীর জাতীয় বীমা বছরের মাধ্যমে সেটি টপ আপ করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, নতুন রাষ্ট্রীয় পেনশনের আওতায় থাকলে (২০১৬ সালের পর যারা যোগ্য হয়েছেন), তাদের ক্ষেত্রে সঙ্গীর জাতীয় বীমা রেকর্ড থেকে সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে অতিরিক্ত অবদান থাকলে, সেই টাকার কিছু অংশ ‘সুরক্ষিত অর্থপ্রদান’ হিসেবে স্ত্রী বা স্বামী পেতে পারেন।
এই ধরণের পেনশন নির্ধারিত বেতনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত আয় দেয়। আপনি মারা গেলে, আপনার স্ত্রী বা স্বামী সাধারণত মোট পেনশনের প্রায় ৫০ শতাংশ পেতে পারেন।
যদি আপনার সন্তান ২৩ বছরের কম বয়সী হয় এবং শিক্ষার্থী বা প্রতিবন্ধী হয়, তাহলেও তারা কিছু অংশ পেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দম্পতিদের উচিত আগেই নিশ্চিত হওয়া যে, একজন মারা গেলে অন্যজন আসলেই পেনশন পাবেন কিনা। অনেক সময় বৈবাহিক সম্পর্ক না থাকলে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আপনার ব্যক্তিগত পেনশন (Defined Contribution) থেকে অবশিষ্ট অর্থ কয়েকভাবে বিতরণ হতে পারে। মনোনীত ব্যক্তি চাইলে পুরো টাকা এককালীন তুলতে পারেন, অথবা বার্ষিক আয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন, আবার “ড্রডাউন” ব্যবস্থার মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলতেও পারেন।
যদি আপনি কোনো “ইচ্ছা প্রকাশ” ফর্ম পূরণ না করে থাকেন, তাহলে পেনশন ট্রাস্টিরা সিদ্ধান্ত নেবেন কে পাবে—যা সবসময় আপনার ইচ্ছার সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে।
বর্তমানে পেনশন উত্তরাধিকার করের আওতায় পড়ে না। তবে ২০২৭ সাল থেকে কিছু ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হতে পারে।
যদি কেউ ৭৫ বছরের আগে মারা যায়, তবে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে পেনশনের অর্থ করমুক্ত থাকে। কিন্তু ৭৫ বছরের পরে মারা গেলে, সুবিধাভোগীকে তার ব্যক্তিগত আয়কর হারে কর দিতে হতে পারে।