যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকদের আগামী কয়েকদিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। পূর্বাভাস অনুযায়ী, গুড ফ্রাইডে থেকে শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার পরাগরেণু (pollen) ছড়াতে পারে। এই কারণে যাঁরা হে ফিভার বা পরাগ অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাঁদের জন্য এ সময় হতে পারে চরম ভোগান্তির।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে পরাগরেণুর ঘনত্ব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে। এই ‘পরাগ বোমা’র ফলে বহু মানুষ হাঁচি, চোখ চুলকানো, শ্বাসকষ্টসহ নানা অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় পড়তে পারেন। ফলে মানুষকে আগেভাগেই সাবধান হতে বলা হয়েছে এবং ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, হে ফিভার সাধারণ সর্দি-কাশির মতো নয়। এটি তখনই দেখা দেয়, যখন শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা পরাগরেণুকে ক্ষতিকর মনে করে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এতে নাক বন্ধ, হাঁচি, চোখ লাল হওয়া বা পানির মতো সর্দি হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ইউকে মেডস-এর অনলাইন প্রেসক্রিপশন সেবার চিকিৎসক ডা. অ্যালেক্সিস মিসিক জানান, হে ফিভারের লক্ষণ যতদিন অ্যালার্জির উৎসের সংস্পর্শে থাকা হয়, ততদিন স্থায়ী হতে পারে। তিনি বলেন, “বসন্তে গাছের পরাগ বেশি ছড়ায়, গ্রীষ্মে ঘাসের এবং শরতে আগাছার পরাগ। এছাড়া উষ্ণ ও ভেজা আবহাওয়ায় ছত্রাকের স্পোরও বাতাসে ছড়ায়, যা অনেকের জন্য সমস্যা তৈরি করে।”
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা হে ফিভারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যতটা সম্ভব ঘরে অবস্থান করতে এবং বাইরের ধুলাবালি ও বাতাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে ঘরের ভেতরে পরাগরেণু প্রবেশ করতে না পারে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।