পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে শুরু হওয়া এ আন্দোলন রোববার থেকে বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে আরও কঠোর রূপ নিয়েছে।
রোববার সকালে ৮০টি সমিতির মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জাররা তাদের রিডিং বই সংশ্লিষ্ট জিএম বা সিনিয়র জিএমদের কাছে জমা দেন এবং জানান, তারা আর রিডিং নেবেন না। তারা রিডিং গ্রহণের দায়িত্ব আরইবির উপর ন্যস্ত করার অনুরোধ জানান। তাদের বক্তব্য, বর্তমান অচলাবস্থার জন্য আরইবিই দায়ী এবং এ সংক্রান্ত দায়ভার তারাই বহন করবে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ইছাহাক আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে কর্মচারীরা। তার বিরুদ্ধে কেপিআই স্থাপনায় বহিরাগতদের ব্যবহার করে হামলা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে তার কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, দ্রুত দাবি পূরণ না হলে তারা মোবাইল সিম জমা প্রদানসহ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের অভিযোগ তুলে সেগুলো প্রদর্শন করেন। তারা বলেন, আরইবির দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় করা নিম্নমানের মিটার, ইনসুলেটর, ও লাইটেনিং আরেস্টারের কারণে বিদ্যুৎ লাইন সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা গ্রাহক ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না আসায় সোমবারও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।