ব্রিটেনের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স সতর্ক করেছেন যে যুক্তরাজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। তার মতে, যুদ্ধের জন্য দেশের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, বোমা আশ্রয়কেন্দ্র, ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টার এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ এখন সময়ের দাবি।
স্যার প্যাট্রিক বলেন,
“রাশিয়া যদি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়, তাহলে ন্যাটো মিত্রদের উপর সীমিত আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা তারা কয়েক মাসের মধ্যে অর্জন করতে পারে।”
তিনি ফিনল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেশটি তাদের ৪৫ লাখ জনসংখ্যার জন্য বোমা শেল্টার তৈরি করেছে, অথচ ব্রিটেন এসব বিষয়ে পিছিয়ে। তার মতে, ব্রিটেনে এখনকার সেনাবাহিনী এত ছোট যে তারা মাত্র কয়েক মাসের তীব্র যুদ্ধ টিকে থাকতে পারবে না।
মূল উদ্বেগ ও প্রস্তাবনা:
-
যুক্তরাজ্যের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল এবং এর জন্য বাজেট খুব কম।
-
গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেমন: বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তথ্য কেন্দ্র।
-
রাশিয়ার পাশাপাশি ইরানও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, কারণ তারা সাইবার আক্রমণ, নাশকতা, বা প্রক্সি গোষ্ঠী ব্যবহার করতে পারে।
-
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা পুতিনকে বিরক্ত করেছে, তাই যুক্তরাজ্য এখন “জনশত্রু নম্বর ১”-এর কাছাকাছি।
সম্ভাব্য হুমকিসমূহ:
-
বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর ওপর রাশিয়ার আক্রমণ হলে ব্রিটিশ সেনারা প্রথম থেকেই জড়াবে।
-
সুওয়ালকি গ্যাপ-এ আক্রমণ হলে ন্যাটোর স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
-
নরওয়ের সোয়ালবার্ড দ্বীপ, ডেনিশ-সুইডিশ দ্বীপ, এসব এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ।
জেনারেল স্যার প্যাট্রিকের মতে, এখন আর “শান্তির যুগ” নেই। ইউরোপ এক নতুন নিরাপত্তা হুমকির মুখে। তাই সরকারকে জনগণকে সচেতন করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে, এবং প্রতিরক্ষা খাতে বাস্তব বিনিয়োগ করতে হবে।