চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাঙ্গু, ডলুনদী, হাঙ্গর, কঙ্কাবতী ও হাতিয়া খালের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কেরানিহাট-বান্দরবান সড়কের দস্তিদার হাট এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে।
সাতকানিয়ার কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওসমান আলী জানান, কেওচিয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম ডুবে গেছে। গ্রামীণ সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া সংলগ্ন হাতিয়ার খালের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে নিম্নাঞ্চলের দিকে বানের পানি প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়ে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতি এবং বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নাজিম উদ্দীন জানান, বেড়িবাঁধটি গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহায়তায় তা কোনো মতে সংস্কার করা হয়। কিন্তু এ বছরের বন্যার শুরুতেই বেড়িবাঁধের কিছু অংশ এবং ডলু নদীর প্লাবণে সর্দানীপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকার জন্য এবং জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য বলা হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।