দুই জন বাবা, উইল অর-ইউইং ও পিট মন্টগোমারি, ইংল্যান্ডের স্কুলগুলিতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের জন্য শিক্ষা সচিব ব্রিজেট ফিলিপসনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার (Judicial Review) আবেদন করতে যাচ্ছেন। তারা যুক্তি দেন, বর্তমান নির্দেশিকা যা প্রধান শিক্ষককে স্মার্টফোন ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ দেয়, তা শিশুদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নয় এবং অনিরাপদ।
বাবাদের দাবি, স্মার্টফোনগুলো ক্ষতিকর বিষয়বস্তু দেখার এবং সাইবার বুলিংয়ের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন, স্কুলের পিই চেঞ্জিং রুমে শিশুদের নগ্ন ছবি ভিডিও করা ও ছড়িয়ে দেওয়া, টয়লেটে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে ছেলেমেয়েদের প্রতি হয়রানি, এবং স্কুল বাসে পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রদর্শনের মতো ঘটনা।
তারা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে স্মার্টফোনের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র “ইট ফোন” থাকার ব্যবস্থা হওয়া উচিত, যাতে জরুরি যোগাযোগ করা যায়।
সরকারি দফতর (ডিএফই) জানিয়েছে, স্কুলগুলির কাছে ইতোমধ্যেই স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা আছে এবং অনলাইন সুরক্ষা আইন কার্যকর করে ক্ষতিকর বিষয় থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা হচ্ছে। তবে বাবারা মনে করেন, স্কুলগুলো এখনো সন্তোষজনক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
গত এপ্রিলের জরিপে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের ৯০% স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হয়েছে। কিন্তু বাবাদের মতে, এটা যথেষ্ট নয়, সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞাই সবচেয়ে নিরাপদ।
ডিএফই এই আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে এখন ১৪ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক জবাব দিবে, তারপরই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।