মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং আঞ্চলিক মিত্রদের সক্রিয়তা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর সাম্প্রতিক মহড়া এবং ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহসহ মিত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা এই উদ্বেগের মূল কারণ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সূত্র মতে, ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন প্রযুক্তি এখন একটি ‘বাস্তব হুমকি’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ইরান বলছে, তাদের সামরিক প্রস্তুতি কেবল আত্মরক্ষামূলক এবং তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বক্তব্যে বলেন, “আমরা কারও বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাব না, তবে কেউ আঘাত করলে তার জবাব শক্তভাবে দেওয়া হবে।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে এ উত্তেজনা ভবিষ্যতে আরও জটিল রূপ নিতে পারে।