আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিকে ঘিরে সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোতে বাড়তে পারে পর্যটকদের ভিড়। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে এরই মধ্যে বুকিংয়ের ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা পর্যটকদের আগমনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিস্থিতি বিবেচনায় গত রোববার গোয়াইনঘাট উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটন স্পট ‘সাদাপাথর’ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অন্যদিকে জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুলসহ অন্যান্য জায়গাগুলো এখনো খোলা রয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিলেট জেলা প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ। তিনি জানান, অতিরিক্ত গাইড নিয়োগ, স্পটভিত্তিক রোডম্যাপ ও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদের ছুটিতে ২–৩ লাখ পর্যটক সিলেটে আসতে পারেন, যার ফলে ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার পর্যটন বাণিজ্য হতে পারে।
তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা ও দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সময় পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছে। তাই পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সব মিলিয়ে আবহাওয়া ভালো থাকলে ঈদের ছুটিতে সিলেট আবারও পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে—এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।