যুক্তরাজ্যের তিনটি বড় খাবার ডেলিভারি কোম্পানি—উবার ইটস, ডেলিভারু এবং জাস্ট ইট—তাদের প্ল্যাটফর্মে অবৈধভাবে কাজ করা লোকদের ঠেকাতে নতুন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীদের উদ্বেগের পর এসব কোম্পানি জানায়, তারা ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন (চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি) এবং প্রতারণা শনাক্ত করার প্রযুক্তি আরও বেশি ব্যবহার করবে, যাতে শুধু অনুমোদিত ডেলিভারিরাই কাজ করতে পারে।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর। সেখানে মন্ত্রীরা জানান, কিছু আশ্রয়প্রার্থী ও অবৈধ অভিবাসী এসব প্ল্যাটফর্মে অবৈধভাবে কাজ করছে। জাস্ট ইট ইতোমধ্যে মুখের ছবি যাচাইয়ের ব্যবস্থা চালু করেছে, তবে এখন তারা সেটি মাসে একবারের বদলে প্রতিদিন করবে। নতুন এই নিয়মগুলো ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও আশ্রয়বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা ঈগল বলেন, “অবৈধ কাজ বন্ধ করতে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এটি শুধু ন্যায্য ব্যবসা ও মজুরিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং মানবপাচারের ঝুঁকিও বাড়ায়।”
কর্মসংস্থান মন্ত্রী জাস্টিন ম্যাডার্স বলেন, “অবৈধভাবে কাজ করালে বৈধ কর্মীদের ক্ষতি হয়। আমরা কর্মক্ষেত্রে সবার অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।”
ডেলিভারু, উবার ইটস এবং জাস্ট ইট জানিয়েছে, তারা অবৈধ কাজ রোধে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা বলেছে, অপরাধীরা যেহেতু নতুন কৌশলে প্রতারণা করছে, তাই কোম্পানিগুলোকেও আরও শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। সব কোম্পানি একমত যে, অবৈধ কাজ ঠেকাতে সরকার ও শিল্পের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।