কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশ থেকে বাপা এ সংক্রান্ত ৮ দফা দাবি তুলে ধরে।
বাপার ৮ দফা দাবি:
১. যত্রতত্র পশুর হাট বসানো বন্ধ এবং নির্ধারিত স্থানে পশু বেচাকেনা নিশ্চিত
২. প্রতিদিনের হাট বর্জ্য দিন শেষে সম্পূর্ণ অপসারণ
৩. এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা
৪. কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ
৫. সিটি কর্পোরেশনের জনবল, যানবাহন ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি
৬. পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক স্থায়ী কোরবানি কেন্দ্র স্থাপন
৭. খোলা জায়গা, নদী, খাল, ড্রেন বা রাস্তায় বর্জ্য ফেলা নিষিদ্ধ
৮. হটলাইনসহ জরুরি অভিযোগ নিষ্পত্তির কেন্দ্র চালু
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যত্রতত্র কোরবানি ও পশুর হাটের কারণে শহরের পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পশুর বর্জ্য, মল-মূত্র ও দুর্গন্ধে জনজীবন ব্যাহত হয়। যদিও সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত কিছু স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু তা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অপ্রয়োজনে বাড়িঘরের সামনে বা রাস্তায় কোরবানি দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
বাপা নেতারা বলেন, গত ৫ বছর ধরে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়নি এবং জনসচেতনতার অভাব রয়ে গেছে। তারা দাবি করেন, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই বাধ্যতামূলক করা ও এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো জরুরি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ড. হালিম দাদ খান এবং সঞ্চালনা করেন হুমায়ুন কবির সুমন। বক্তব্য রাখেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির, জাভেদ জাহান, নাজিম উদ্দীন, আনছার আলী, তরিকুল ইসলাম রাতুল, মোনসেফা তৃপ্তি, আরিফুর রহমান ও শাহরিয়ার কবির হৃদয়।