গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের তালিকাভুক্তি: আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের তালিকাভুক্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহিদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। নতুন গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাদ পড়া শহিদ ও আহতদের তালিকাভুক্তির জন্য ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আজ বুধবার গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন যে, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের তালিকার প্রথম ধাপ ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা https://medical-info.dghs.gov.bd/public ওয়েব পেজে পাওয়া যাবে। তবে যাঁরা এখনো এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি, তাঁদের নাম যুক্ত করার জন্য নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণপত্রসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য নথি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ অথবা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতার কাছে জমা দেওয়া যাবে।
শহিদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁদের আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে এই প্রক্রিয়াটি শুরু করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে সরকার সময়সীমা বাড়িয়ে আবেদন প্রক্রিয়াটি আরও ব্যাপকভাবে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যাবে।
আবেদন প্রক্রিয়ার সময় বৃদ্ধি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষ সেল জানায়, গণঅভ্যুত্থানের সময়কালে যারা প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাঁদের সবার তথ্য যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করাই এর মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে যাঁরা আন্দোলনে আহত বা শহিদ হয়েছেন কিন্তু তালিকার প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ একটি সুবর্ণ সুযোগ।