পূর্ব লন্ডনের ডাগেনহ্যামে সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, যাতে প্রায় ১৯ একর এলাকা আগুনে পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের (LFB) ১২৫ জন দমকলকর্মী এবং ২০টি ইঞ্জিন কাজ করে।
আগুন ক্লেমেন্স রোডের কাছে ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত ঘাস, ঝোপঝাড় ও গাছপালায় আগুন ধরিয়ে দেয়। আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আশেপাশের কিছু ফেন্স, শেড এবং বাগানের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বাড়িগুলো আগুন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি খালি করা হয়।
স্টেশন কমান্ডার ম্যাট হেওয়ার্ড জানান, আগুন যাতে বসতবাড়িতে না ছড়ায়, সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে দমকল বাহিনী। আগুন নেভাতে ব্যবহৃত হয় আগুন প্রতিরোধক যন্ত্র ও বাগানের পাইপ।
সহযোগিতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
বাঁর্কিং ও ডাগেনহ্যাম কাউন্সিল আগুন দমন ব্যবস্থায় সহায়তা করে। এছাড়া এসেক্স ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস এবং লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সহায়তাও ছিল। এলএফবি তাদের পরীক্ষামূলক দাবানল প্রতিক্রিয়া যানবাহনও ঘটনাস্থলে ব্যবহার করে।
সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৯:৪৫-এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময়ের মধ্যে ৭৫টিরও বেশি কল আসে ফায়ার সার্ভিসে।
খরার প্রেক্ষাপট ও আশঙ্কা
দাবানলের এই ঘটনা ঘটে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র খরার কারণে হোসপাইপ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার টেমস ওয়াটার চারটি কাউন্টিতে পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, ফলে বর্তমানে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষ এই সীমাবদ্ধতার আওতায়।
পরিবেশ সংস্থা সতর্ক করেছে, চলমান খরা অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইংল্যান্ডের অধিকাংশ এলাকা খরাপ্রবণ হয়ে পড়বে।
পানি সংরক্ষণে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, কারণ সামনের দিনগুলোতে আরও কঠিন পানি সংকটের আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।