ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে শনিবার ভোর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রবল বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়, যা জীবনহানি, হঠাৎ বন্যা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মেট অফিস সকাল ৪টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লন্ডন, ব্রাইটন, পোর্টসমাউথ, চেল্মসফোর্ড, সেন্ট অ্যালব্যান্স ও কেমব্রিজের জন্য অ্যাম্বার সতর্কতা জারি করেছে।
বজ্রঝড়ে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং বাস-ট্রেন চলাচলে বিলম্ব ঘটতে পারে। তীব্র বাতাস ও শিলা বৃষ্টি বাড়তি ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি করছে।
এর আগে শুক্রবার ইয়েলো সতর্কতা জারি ছিল ইয়র্কশায়ার, উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ড, লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায়। শনিবারও দেশের প্রায় পুরো অংশে এই সতর্কতা থাকবে এবং রোববার থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে নতুন সতর্কতা কার্যকর হবে।
মেট অফিস জানিয়েছে, উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস এই চরম আবহাওয়ার কারণ, যেখানে পূর্ব ইংল্যান্ডের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে।
প্রধান আবহাওয়াবিদ জেসন কেলি জানান, দক্ষিণ ও মধ্য ইংল্যান্ডে গুমোট ও ভারী বৃষ্টি থাকতে পারে সারা সপ্তাহজুড়ে, তবে মাঝে মাঝে রোদও দেখা যেতে পারে।
এদিকে সাদার্ন ওয়াটার হ্যাম্পশায়ার ও আইল অব ওয়াইট অঞ্চলে হোসপাইপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। বিরল প্রাকৃতিক জলধারা ‘চক স্ট্রিম’ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গার্ডেনে পানি দেওয়া, গাড়ি ধোয়া বা প্যাডলিং পুল ভরার মতো কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুন ছিল অন্যতম উষ্ণতম মাস, যেখানে বৃষ্টিপাত ছিল ২০% কম। পানির চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পূর্ব ও পশ্চিম মিডল্যান্ডসে খরা ঘোষণা করা হয়েছে, যা উত্তর ইংল্যান্ডসহ বিস্তৃত অঞ্চলে পানির সংকট তৈরি করেছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট