যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসলের একটি অভিজাত এলাকায় অবৈধভাবে গাঁজা চাষের খামার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আলবেনিয়ান যুবক ক্লোডিয়ন বিচাকু দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্যের কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা তার জন্য খুবই কষ্টকর ছিল। নিম্নমানের খাবারের কারণে তার পাইলসের সমস্যা হয়েছে।
২৬ বছর বয়সী বিচাকু ২০২২ সালে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন। গত মে মাসে নিউক্যাসলের গোসফোর্থের একটি তিন বেডরুমের বাড়িতে গাঁজার চাষের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাড়ির বেডরুম ও কনজারভেটরিতে গাঁজা চাষ হচ্ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ৩৬ হাজার পাউন্ড।
বিচাকু নিউক্যাসল ক্রাউন কোর্টে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাঁজা চাষের দায় স্বীকার করেন এবং জানান যে তিনি একটি ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন। প্রসিকিউশন জানায়, তিনি ওই অবৈধ খামারে ‘গার্ডেনার’ হিসেবে কাজ করতেন, যেখানে তার দায়িত্ব ছিল গাছপালা জল দেওয়া ও ছাঁটাই করা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, বিচাকু কাজের বিনিময়ে খুব অল্প মজুরি পেতেন এবং তার আগে থেকেই কিডনির সংক্রমণ ও অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছিলেন। জেলে থাকার সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং নিম্নমানের খাবারের কারণে পাইলসের সমস্যা বেড়ে যায়, যা তিনি “ভয়ানক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আদালতে জানানো হয়, বিচাকু আলবেনিয়ায় পরিবারের কাছ থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড ধার করে ইউরোপ হয়ে গ্রান ক্যানারিয়ার পথ ধরে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। এখন ঋণ শোধের চাপ নিয়ে তিনি আতঙ্কিত, কারণ ঋণ শোধ না করতে পারলে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে তার শঙ্কা রয়েছে।
প্রসিকিউশন আরও জানিয়েছে, বিচাকুর ব্যবহৃত ভুয়া পরিচয়পত্র আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য ব্যবহার উপযোগী ছিল না; তিনি সেটি মূলত দোকানে সিগারেট ও রেডবুল কেনার জন্য ব্যবহার করতেন।
হোম অফিসের জিজ্ঞাসাবাদে বিচাকু স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করে জানিয়েছেন, দেশে ফেরত পাঠানো হলে তিনি আপত্তি করবেন না। বিচারক এডওয়ার্ড বিন্ডলস তাকে আট মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।