যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী এক ব্যক্তি নিজের জাতীয়তা গোপন করে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শেষপর্যন্ত আদালতে জয় পেয়েছেন। প্রথমে নিজেকে ইরানি বালোচ মুসলিম পরিচয় দিয়ে আশ্রয় দাবি করলেও পরে আদালতে জানান, তিনি আসলে আফগান নাগরিক এবং তালেবান থেকে পালিয়ে এসেছেন।
ওই ব্যক্তি ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন এবং সেপ্টেম্বরে আশ্রয়ের আবেদন করেন। দাবি করেন, তিনি ইরান থেকে পালিয়েছেন এবং সেখানে সংখ্যালঘু হওয়ায় তার ওপর নিপীড়ন হতে পারে। তবে ২০১৫ সালে তার আবেদন বাতিল হয়, এবং পরে করা আপিলও ব্যর্থ হয়।
২০২১ সালে আবার আশ্রয় চান, এ সময় তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি এবং দেশে ফেরার ঝুঁকি তুলে ধরেন। এরপর তিনি জানান, তার প্রকৃত পরিচয় আফগান এবং তালেবান শাসনের কারণে তিনি দেশ ছেড়েছেন। ইরানি পরিচয় দিয়ে আবেদন করার কারণ ছিল আশ্রয় পাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করা।
তবে তার এই নতুন তথ্য উপস্থাপনের সময় নির্ধারিত শুনানিতে তিনি এবং তার আইনজীবীরা উপস্থিত হতে পারেননি। দাবি করেন, তারা শুনানির কোনো নোটিশ পাননি। ট্রাইব্যুনাল তা আমলে না নিয়ে আপিল খারিজ করে।
পরবর্তীতে আপার ট্রাইব্যুনালে আপিল করলে বিচারক সারা আনজানি রায় দেন, আবেদনকারীর মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও ব্যক্তিগত উপস্থিতি বিবেচনা না করায় আগের শুনানিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। তাই মামলাটি নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘটনা আশ্রয় প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস