ChatGPT চালুর পর যুক্তরাজ্যে নতুন এন্ট্রি-লেভেল চাকরির সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে চাকরি অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম Adzuna। গবেষণায় দেখা গেছে, স্নাতক, শিক্ষানবিশ, ইন্টার্নশিপ এবং ডিগ্রি ছাড়াই পাওয়া যায় এমন চাকরির সংখ্যা ৩২% কমেছে। এই ধরনের চাকরি এখন বাজারের ২৫% জুড়ে, যেখানে ২০২২ সালে ছিল ২৮.৯%।
Adzuna বলছে, ব্যবসাগুলো কর্মী খরচ কমাতে এবং দক্ষতা বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। BT-এর প্রধান নির্বাহী ইঙ্গিত দিয়েছেন, AI ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে ছাঁটাই হতে পারে।
এদিকে, AI ডেভেলপার Anthropic-এর প্রধান দারিও আমোদেই সতর্ক করেছেন, আগামী পাঁচ বছরে এআই অফিসভিত্তিক এন্ট্রি-লেভেল চাকরির অর্ধেক বিলুপ্ত করতে পারে এবং বেকারত্ব ১০-২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
Indeed-এর আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন স্নাতকদের জন্য চাকরির সুযোগ ২০১৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত স্নাতকদের জন্য চাকরির বিজ্ঞাপন ৩৩% হ্রাস পেয়েছে।
বড় কোম্পানিগুলোও AI ব্যবহারে এগিয়ে গেছে। Klarna জানিয়েছে, তাদের গ্রাহক সেবার দুই-তৃতীয়াংশ প্রশ্ন এখন AI সহকারী সামলায়। IBM বলেছে, তারা শত শত HR পদের কাজ AI দিয়ে করছে, যদিও কিছু নতুন পদের জন্য নিয়োগও দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, AI কিছু চাকরি নেবে, আবার কিছু নতুন ভূমিকা তৈরি করবে। IMF ধারণা করছে, উন্নত অর্থনীতির ৬০% চাকরি AI-এর প্রভাবের মুখে, এবং সেগুলোর অর্ধেক নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
তবে, PwC‘র এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, AI দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীরা বর্তমানে গড়ে ৫৬% বেশি বেতন পাচ্ছেন। পাশাপাশি দেখা গেছে, AI-এর প্রভাবে চাকরিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে – যা কর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল জানিয়েছেন, এখনই কর্মী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর AI-এর সাথে খাপ খাওয়ানোর সময়, নইলে তারা পিছিয়ে পড়বে।